একজন গ্রাম পুলিশ দিনে ও রাতে ইউনিয়নে পাহাড়া ও টহলদারী করেন।
অপরাধের সংগে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় অনুসন্ধান ও দমন করেন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সাধ্যমত পুলিশকে সহায়তা করেন।
চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদকে সরকারী দায়িত্ব পালনে সহায়তা করেন।
অন্য নির্দেশ না থাকলে প্রতি পনের দিন অন্তর এলাকার অবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
ইউনিয়নের খারাপ চরিত্রের লোকেদেরগতিবিধি লক্ষ্য করেন এবং মাঝে মাঝে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিতকরেন। পাশের এলাকা থেকে আগত কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির উপস্থিতি সম্পর্কেওথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
ইউনিয়নে লুকিয়ে থাকা কোন ব্যক্তি, যারজীবন ধারণের জন্য প্রকাশ্য কোন আয় নেই বা যে তার নিজের পরিচয় সম্পর্কেসন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেনা, এমন লোক সম্পর্কে থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট প্রদান করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সে সকলবিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন, যা বিরোধ, দাংগা-হাংগামা বা তুমুল কলহ সৃষ্টিকরতে পারে এবং জনগণের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।
ইউনিয়নে নিম্নলিখিত অপরাধ ঘটলে বা ঘটারসম্ভবনা সম্পর্কে কোন তথ্য জানতে পারলে তা দ্রুত থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তাকে অবহিত করেন। যেমন-
দাংগা-হাংগামা,
গোপনে মৃতদেহ সরিয়ে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা,
কোন শিশুকে বাড়ি হতে বের করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া,
আগুনের সাহায্যে সংঘটিত ক্ষতি,
বিষ প্রয়োগে গবাদিপশুর অনিষ্ট বা ক্ষতি করা,
নরহত্যা বা আত্মহত্যার প্রচেষ্টা এবং উপরে উল্লেখিত অপরাধ সংঘটন বা অপরাধ সংঘটন করার চেষ্টা।
আমলযোগ্য অপরাধের সাথে জড়িত কোনব্যক্তি বা যার বিরুদ্ধে যথার্থ অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে বা বিশ্বাসযোগ্যতথ্য পাওয়া গেছে বা কোন অপরাধমূলক কাজের সহিত জড়িত থাকার যুক্তিসংগত কারনরয়েছে।
বৈধ কারন ছাড়াই কোন ব্যক্তির কাছে ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জাম পাওয়া গেলে।
সরকারের কোন আদেশ বলে বা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫ নং আইন) অধীন কোন ব্যক্তিকে যদি অপরাধী ঘোষণা করা হয়।
যে কোন ব্যক্তি যার অধিকারে এমন সকলদ্রব্য বা মাল রয়েছে যা চোরাই মাল বলে সন্দেহ করার যথার্থ কারন রয়েছে বা এমাল দেখে সে কোন অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত আছে বলে যথার্থভাবে সন্দেহ হলে।
বৈধ হেফাজত বা তত্ত্বাবধান হতে কোন ব্যক্তি পালিয়ে গেলে বা পালাবার চেষ্টা করলে।
কোন ব্যক্তি কোন সরকারী কর্মচারীকে তার সরকারী দায়িত্ব পালনে বাঁধা দিলে।
এমন কোন ব্যক্তি যাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,নৌ-বাহিনী বা বিমান বাহিনীর পলাতক সৈনিক বলে যথার্থভাবে সন্দেহ হলে।
মুক্তিপ্রাপ্ত কোন অপরাধী ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫ নং আইন ৫৬৫ ধারায়) (৩) উপধারার কোন বিধান ভংগ করলে ।
উপরে উল্লেখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধঅথবা আদালতে গ্রহণযোগ্য যেকোন অপরাধ বন্ধ করতে বা বন্ধ করার ক্ষেত্রেমধ্যস্থতা করার ক্ষেত্রে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ এবং জন্ম ও মুত্যু সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করেন।
মানুষ বা পশু বা ফসলের মধ্যে কোনমহামারী বা সংক্রামক রোগ বা পোকার আক্রমণ ব্যাপক আকারে দেখা দিলে সাথে সাথেইউনিয়ন পরিষদকে এ সম্পর্কে অবহিত করেন।
কোন বাঁধে বা সেচে ক্ষতি বা ত্রুটি দেখা দিলে অনতিবিলম্বে ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করেন।
সরকারী কাজের উদ্দেশ্যে যেকোন স্থানীয় তথ্য সরবরাহ করেন।
খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর,স্থানীয় কর,ফি বা অন্য পাওনা সংগ্রহ ও আদায়ে তিনি রাজস্ব কর্মচারীদের সহায়তা করেন।
অধ্যাদেশের অধীনে কোন অপরাধ সংঘটন বা সংঘটনের অভিপ্রায় সম্পর্কে জ্ঞাত হলে বা জানতে পারলে তা ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের বা ইউনিয়ন পরিষদেরঅধিকারে ন্যস্ত কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষতি সাধন বাপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা অন্যায় দখল সম্পর্কে তিনি অবিলম্বে ইউনিয়ন পরিষদকেঅবহিত এবং এ ধরণের ক্ষতি,প্রতিবন্ধকতা বা অন্যায় দখল রোধ করার জন্যমধ্যস্থতা করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্দেশে কোন বাসিন্দার আবাসস্থল বা সম্পত্তির উপর পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রাম পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ও ওয়ারেন্ট বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে গ্রেফতার করতে পারেন:
সাধারণ লোক কোন ব্যক্তিকে বৈধভাবেগ্রেফতার করলে তিনি তাদের সাহায্য করেন এবং দেরী না করে এধরণের গ্রেফতারসম্পর্কে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
গ্রামে কর্মরত সরকারী কর্মচারী বা কোনসাধারণ লোক সাময়িক ভাবে বলবৎ কোন আইন বলে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলে তিনিতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিনি যে ব্যক্তির বা ব্যক্তিবর্গের দায়িত্বগ্রহণ করেছেন বা তিনি নিজেই যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছেনতাদেরকে অনতিবিলম্বে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হাজির করবেন। তবেশর্ত থাকে যে, রাতের অন্ধকারে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হলেতাকে বা তাদেরকে গ্রামে বৈধ তত্ত্বাবধানে রাখা যেতে পারে। কিন্তু পরদিনসকালে সম্ভাব্য তাড়াতাড়ি সময়ে তাদেরকে থানায় হাজির করতে হয়।
বিভিন্ন সময়ে আইন অনুযায়ী তার উপরঅর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। উপরোক্ত কার্যাবিলী ছাড়াও গ্রাম পুলিশ এলাকারবিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য হিসেবেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অস্বাভাবিক মৃত্যু বা খুনের ক্ষেত্রে লাশ পাহাড়া দেন এবং থানায় পৌঁছনো পর্যন্ত লাশের সঙ্গে থাকেন।
এলাকায় থানার পুলিশ এলে সবসময় তাদের সাথে থাকেন।
উঁচু পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনে এলে তাদেরকে সার্বিক সহায়তা করেন।
আদালতের মামলা মোকদ্দমার তারিখ জারি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আদেশ অনুসারে কাজ করেন।
গ্রাম আদালতে বিচার চলাকালে উপস্থিত থাকেন।
গ্রাম পুলিশগণ থানা এবং ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন; প্রতি সপ্তাহে তারা থানা এবং সময় সময় ইউনিয়ন পরিষদে হাজিরা দেন।